অনার্স
২য় বর্ষ পরীক্ষায়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনেক
ছাত্র ছাত্রী
শুধু মাত্র (নন-ক্রেডিট) ইংরেজীতে রেজাল্ট
খারাপ করে , তাদের
জন্য কতিপয় পরার্মশ-
সহজ
কিছু টেকনিক জেনে
নিনঃ
১.
বিগত বছরের প্রশ্নপত্র গুলো পর্যবেক্ষণ করুনঃ
বিগত বছরের প্রশ্নপত্র গুলো পর্যবেক্ষণ করুন এতে করে আপনি প্রশ্নপত্রের নমুনা এবং প্রশ্ন সর্ম্পকে একটা ধারনা পেয়ে যাবেন। কোন কোন টপিস গুলো আপনাকে আয়ত্ব করতে হবে, সব বুঝে যাবেন। এর চেয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সত্যিই ভালো কোনো উপায় নেই। অনেকেই ইংরেজি প্রশ্নপত্রে কাঠামো ভালো মতো বুঝেন না, না বুঝেই পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে,এবং অবশেষে ফলাফল খারাপ করেন। বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী ইংরেজিতে ভালো ফলাফল করার জন্য প্রাইভেট নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নিজে না
পড়লে যতই প্রাইভেট পড়ুন না কেন-আশানুরুপ ফলাফল পাবেন না। প্রাইভেট আপনাকে পাস করে দিবে না, আপনার রেজাল্ট আপনাকেই ভালো করতে হবে। প্রাইভেট থেকে আইডিয়া নিতে পারেন, একেবারেই প্রাইভেট এর উপরে সব ছেড়ে দিলে রেজল্ট ও আপনাকে ছেড়ে দিবে।
২.
ইংরেজি বিষয়টা যত্ন সহকারে পড়ুনঃ
অন্যান্য বিষয় গুলোর মত
আপনি অর্নাস লাইফে ইংরেজি বিষয় টাকে কখনোই অবহেলার চোখে দেখবেন না। তাহলে নিশ্চিত ধরা খেয়ে বসবেন। তাই, ইংরেজি বিষটা যত্ন সহকারে পড়ুন। বেশি বেশি প্রশ্ন সলভ করতে করুন।অর্নাসের পর ও আজীবন কাজে দিবে।
যতই পারর্দশী হন
না কেন? পরিস্থিতির চাপ আপনাকে প্রশ্নের উত্তর ভুল করাতে পারে।তাই প্রশ্নের উত্তর গুলো পরিকল্পনা করে লিখুন। অনেকেই অত্যাবশ্যক সময়ের অপচয় করেন। আপনি যতটুকুই জানুন না
কেন,তা টেকনিক খাটিয়ে লিখুন।
৩.
আপনার সময় পরিচালনা করুনঃ
এই
বিষয়ে আপনাকে নিজের উপর কঠোর হতে হবে।আপনি প্রতিটি প্রশ্নের জন্য একটি সময় সীমা নির্ধারণ করুন।পরবর্তী প্রশ্নটি আপনি কোন সময়ে লেখা শুরু করবেন সেদিকে মনোযোগ রাখুন।
ইংরেজি পরিক্ষায় আপনি একটা চিন্তা মাথায় রাখুন,আপনাকে যেকোনো মূল্যে পরিক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতেই হবে। আপনাকে অন্যকেউ কখনোই হেল্প করবে না। তাই নিজেকে সেই ভাবেই প্রস্তুত করুন।পরিক্ষার হলে অন্যের উপর ভরসা না করে “আমার আমি হয়ে থাকার চেষ্টা করুন”।
৪.
প্রচুর অনুশীলন করুনঃ
পরীক্ষার শুরুর প্রায় তিন মাস আগে থেকেই,
আপনাকে প্রচুর অনুশীলন পরীক্ষা শুরু করতে হবে।
যার যতো বেশি Grammar টেকনিক জানা থাকবে সে
ততো ভালো করতে পারবে। প্রশ্ন যত সহজ হবে ভুল করার সম্ভাবনা ও তত বেশি থাকে।
বুঝে Answer করুন।
৫.
Paragraph/Composition নিজের পুর্ব ধারনা বা
অনুমান থেকে লিখুনঃ
যদি পরিক্ষায় Paragraph/Composition কমন না
পড়ে তাহলে নিজের পুর্ব ধারনা বা অনুমান থেকে লিখুন। আপনি যা লিখতে যাচ্ছেন তার একটি সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা করুন এবং নিশ্চিত করুন এটি প্রশ্নের সাথে সম্পর্কিত। বিশ্বাস করেন এক্ষেত্রে আপনি অন্যকারো সাহায্য নিতে গেলেই ধরা খেয়ে যাবেন। শর্টকাটে কয়েকটা প্যারাগ্রাফ বা কম্পজিশন আয়ত্ব নিলে এগুলো থেকেই অনেক গুলো সাজিয়ে লিখা সম্ভব।চেষ্টা করুন, সবাই যখন পারে আপনি পারবেন না কেন??আপনার জানা ইংরেজি উত্তর করুন, কখনোই এটি খুব জটিল করার চেষ্টা ক রবেন না। আর ,হ্যাঁ Paragraph/Composition এর
উত্তর সব শেষে লেখার চেষ্টা করুন, কারণ এতে সর্বাধিক নাম্বার বহন করে।
৬.
পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আপনার উত্তরের পর্যালোচনা করুনঃ
স্মার্ট শিক্ষার্থীরা এখনও তাদের লিখিত বিবরণ পরীক্ষা না
করে তাদের উত্তরপত্র হস্তান্তর করে না। আপনার বানান ভুলগুলি সংশোধন করতে এবং আপনার মনে করা যেকোনো অতিরিক্ত মন্তব্য যোগ করার জন্য যতটা উত্তর দিতে পারেন তার জন্য আপনার উত্তরগুলি প্রমাণ করুন।নিজেকে প্রশ্ন করুন যে আপনি পরীক্ষার প্রশ্ন এবং আপনার প্রায় সেখানে কিভাবে উত্তর দিতে জানেন।
৭.
কখনোই নিজের আত্নবিশ্বাস কে হারাতে দিবেন নাঃ
কখনও কখনও একটি উত্তর সঠিক বা
ভুল হিসাবে আপনার এ তিড়িং লাফ হবে। মনে করুন আপনি একটা প্রশ্নের উত্তর চয়ন করেছেন,
আপনার আত্নবিশ্বাস থেকে, পরে এটি পরিবর্তন করবেন না। কারণ যার খাতা দেখে আপনি পরিবর্তন করছেন,তার উত্তর টা
আগে চিন্তা করুন কতটুকু সঠিক।
৮.
সবশেষ অবশ্যই অবশ্যই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন খাতায় ইংরেজিতে ভালো ফলাফল পেতে সাহায্য করে।এক্ষেত্রে নিজের হাতের লেখার প্রতি যত্ন নিন। চেষ্টা করবেন
প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা
করে উত্তর দিতে।
এতে খাতা দেখা
সহজ হয়। তাই
পরীক্ষক খুশি। আর
তিনি খুশি হলে
নম্বর ভালো আসবে।
৯.
সময়ের সঠিক ব্যবহার করুনঃ
অনেক পরীক্ষার্থী খুব তাড়াহুড়া করে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লিখে থাকে। এতে ভুলের পরিমাণ বেশি হয় এবং শেষে দেখা যায় অনেক সময় অবশিষ্ট থাকে। যা সে অন্য কাজে তেমন একটা ব্যবহার করার সুযোগ পায় না। তাই সময়ের সঙ্গে মিল রেখে উত্তর প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে
-প্রতিটি সেকশনের
জন্য সময় নিতে পারেন।
১০.সবশেষ উত্তরপত্র রিভিশনঃ
পরিক্ষা শেষ হওয়ার ৫-১০ মিনিট আগেই সম্পূর্ণ লেখা শেষ করুন এবং পুরো উত্তরপত্রটি কম পক্ষে একবার রিভিশন দিতে হবে, যদিও অনেকেই এই কাজটুকু করতে একেবারে ভুলে যায়,এবং তাড়াহুড়ে করে খাতা জমা দেয়। কখনো, পরীক্ষায় কোনো প্রশ্ন ছেড়ে আসবেন না। সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার
চেষ্টা করুন।বুদ্ধি খাটিয়ে লেখার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।।
একটা
কথা মনে রাখবেন,
এমন কোনো কাজ
খাতায় করে আসবেন
না বা এমন
কিছু লিখবেন না
বা এমন প্রক্রিয়ায়
উপস্থাপন করবেন না,
যাতে পরীক্ষকের মাথা
গরম হয় বা
তিনি বিরক্ত হন।
কারণ, তিনি খেপে
গেলে আপনাকে বিদায়
নিতে হতে পারে।
তাই সতর্ক থাকুন
এবং পড়াশোনা করুন।