আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শীতকালে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় বেশিরভাগই ত্বক ও শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্ন জটিলতায় ভুগে থাকেন। সর্দি ও ঠাণ্ডা কাশি কিছুদিনের মধ্যেই সেরে যায়, কিন্তু শুকনো খুশখুশে কাশি সহজে সারতে চায় না। একটু সচেতন হলে এই শুকনো কাশি থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব।
জেনে নিন কাশি সারানোর কিছু উপায়:
আদা
কাশির জন্য সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসাটা হলো আদা। এক্ষেত্রে আদার টুকরোর ওপর লবণ ছিটিয়ে ভাল করে চিবিয়ে রস খাওয়াটাই উত্তম। এছাড়া পরিমাণমতো পানিতে এক ইঞ্চি আদা কুচি করে সেটা সেদ্ধ করে পানির পরিমাণ অর্ধেক করে ফেলুন। তারপর পানিটা ছেঁকে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন। দিনে ৩-৪ বার এ পানীয় পান করলে কাশি সারবেই।
মধু
যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট স্কুল অব মেডিসিনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মধু খাওয়ার পর রাতের যন্ত্রণাদায়ক কাশি বন্ধ হয়ে গেছে, ঘুমও হয়েছে ভাল। তবে রোগ ভেদে মধুর প্রয়োগও ভিন্ন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রাতভর কাশতে হবে না। এছাড়া কাশি দূর করতে আঙুরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়।
রসুন
৫ কোয়া রসুনকে থেঁতলে সামান্য ঘিয়ের মধ্যে হাল্কা ভেজে খেয়ে ফেলুন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারে কিছু দিন আগেও সাধারণ সর্দি ও কাশি সারাতে রসুনের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।
লেবু
কাশি হলে আধখানা লেবুর ওপর গোল মরিচ আর লবণ ছিটিয়ে খেয়ে ফেলুন। কাশি সেরে যাবে।
গোল মরিচ চা
দেড় কাপ পানিতে এক চামচ কালো গোল মরিচের গুড়ো ও ২ চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করুন। তারপর ছেঁকে পান করলেই সেরে যাবে কফযুক্ত কাশি। তবে শুকনো কাশির জন্য এ দাওয়াই কাজ করবে না।
হলুদ
প্রাচীনকাল থেকেই রোগ সারাতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে হলুদ ব্যবহার করে আসছেন কবিরাজরা। এক গ্লাস গরম দুধে আধ চামচ হলুদ মিশিয়ে কোনোমতে খেয়ে ফেলতে পারলে কাশি সেরে যাবে। গিলতে সমস্যা হলে গার্গল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে গরম পানিতে আধ চামচ হলুদ গুড়ো ও আধ চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করতে পারেন। শুকনো কাশি হলে আধ চামচ হলুদের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে উপশম হবে।
এছাড়াও কাশি থেকে রেহাই পেতে করতে পারেন নিম্নোক্ত কাজগুলো-
* সবসময় একটি পানির বোতল রাখুন। গলা শুকিয়ে আসলেই পানি পান করুন। গলা শুকনো থাকলেই কাশির উদ্রেক করে। পানি পান করলে কাশি আসবে না।
* নাক ও মুখ দিয়ে গরম পানির ভাপ নিন। এতে গলায় ও বুকে বসে যাওয়া শুকনো মিউকাস তরল হবে এবং কাশি দ্রুত ভালো হতে সাহায্য করবে।
* পুদিনা পাতার রস গরম পানিতে মিশিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন ২ বেলা। দ্রুত শুকনো কাশির উপশম হবে।
* গরম গ্রিন টি পান করুন। এতে মিউকাস গলা ও বুক থেকে দূর হবে।
* মাথাটা একটু উঁচু করে শুলেও কিন্তু কাশি কমে যায়।
No comments:
Write comments