সম্প্রতি অ্যানড্রয়েড ও আইওএস এ মাইক্রোসফটের নতুন অ্যাপ কর্টানা ভার্চূয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর বেটা-টেস্টিং ফেজ সম্পন্ন হয়েছে। তাতে প্রমানিত হয়েছে যে, গুগল ও অ্যাপেলের মোবাইল প্ল্যাটফরমে কর্টানা ব্যবহার করা যাবে।
credit: iOS
মাইক্রোসফট এর এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপেলের সিরি ও গুগলের মতোই কাজ করে। ব্যবহারকারীরা একে প্রশ্ন করার মাধ্যমে নানান প্রশ্নের উত্তর পাবেন, তারা এর কাছ থেকে খেলার ফলাফল জানতে পারবেন। এতে রিমাইন্ডার সেট করে সময় মতো কাজ করা যাবে। এভাবে কর্টানা দৈনন্দিন নানা ধরণের কাজে সহায়তা দিতে পারবে। একই ধরণের কাজ করলেও গুগল নাউ অনেকটাই যান্ত্রিক কিন্তু মাইক্রোসফটের কর্টানার গুন হলো এটি কাজ করে মানবিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে। এ কারণে গুগল নাউ নয়, বরং এর সাথে অ্যাপেলের সিরি তুলনামূলক বেশি মিল খুঁজে পাওয়া যাবে।
কম্পিউটার গেমে আগ্রহী সকলেই এরই মধ্যে জেনে গেছেন যে, হ্যালো নামের গেম থেকে কর্টানা চরিত্রটি নেয়া হয়েছে এবং এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এমন কি শেষে এসেও জনপ্রিয়তার দিক থেকে কর্টানা গুগল ও অ্যাপেলের সিরিকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
আইওএস থেকে অ্যানড্রয়েড প্ল্যাটফরমে এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অধিকতর ভালো সেবা দিচ্ছে। ‘হেই, কর্টানা’ বলে এই সহায়তাকারীকে আপনি যে কোন বিষয়ে আদেশ দিতে পারবেন। সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আইওএস এর কিছু বাধাজনক দেয়াল আছে, তবে তারা চাইলে আইওএস কে আরো উন্মুক্ত করে এই বাধা অপসারণ করতে পারে।
সম্ভবত উইন্ডোজ এর নুতন সব অ্যাপই কর্টানার সাথে দ্বন্দ্ব তৈরি না করেই সেবা প্রদান করবে। অবশ্য কথার মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া গেলেও কোন্ প্ল্যাটফরমে কর্টানা ব্যবহার হচ্ছে তার উপরে এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর সেবা প্রদানের মান নির্ভর করবে।
গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মাইক্রোসফটের এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়ে আরো বড় পরিকল্পনা আছে বলে জানা গেছে। কর্টানা আর কিছুদিনের মধ্যেই সিয়ানোজেন ওএস এর একটি অপরিহার্য অংশে পরিণত হবে। তবে আরো কিছুটা সময় অতিক্রান্ত না হলে সিয়ানোজেনের সাথে মাইক্রোসফটের এই নতুন সম্পর্ক কতোটা ভালো ফল নিয়ে আসে তা এখনই বলা যাবে না। এক্সবক্স প্রস্তুতকারক কোম্পানি মাইক্রোসফট তাদের উদ্ভাবিত কর্টানাকে মোবাইল ব্যবসা বিস্তারের জন্যে একটি বড় উদ্যোগ হিসেবেই গ্রহন করেছে।
মাইক্রোসফটের নতুন অ্যাপ কর্টানা বর্তমানে আমেরিকা ও চীনে পাওয়া যাচ্ছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশেও এর দেখা মিলবে-এমনটিই প্রত্যাশা বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিপ্রেমীদের।
No comments:
Write comments